শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আমদানি করে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে প্রতিটি ডিমের জন্য গুণতে হবে অন্তত ২০ টাকা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্টরা। প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা ও ডিম-মুরগি উৎপাদন খরচ কমাতে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে এমনটাই জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, উচ্চ রাজস্ব হার ও বাজারে অব্যবস্থাপনার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পোল্ট্রি শিল্প।
সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে তিন দিনের ব্যবধানে হালিতে ৫ টাকা কমেছে ডিমের দাম। অভিযোগ আছে মধ্যস্বত্বভোগীরা কারসাজির মাধ্যমে বাগিয়ে নিয়েছে বড় অর্থ।
তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন পোল্ট্রি শিল্পের মালিক ও উদ্যোক্তারা। ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে খাত সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, এলসি জটিলতা ও সরকারের উচ্চ রাজস্ব আহরণ প্রবণতার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ডিমের গড় উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৩১ পয়সা। পোল্ট্রি শিল্পের নেতারা বলছেন, যথাযথ বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। আমদানিনির্ভর হলে প্রতিটি ডিম ২০ টাকায় কিনতে হবে বলে সতর্ক করেন তারা।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আমাদের বারবার ধমকি দেয়া হচ্ছে। বারবার বলা হচ্ছে ডিম আমদানি করা হবে। আমদানি করলে এই ১২ টাকার ডিম ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে পোল্ট্রি শিল্প একদিন মুখ থুবড়ে পড়বে।
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, কিভাবে ডিমের দাম কম রাখা যায় তার জন্য প্রতি ৩ মাস পরপর আমদের মাঝে আলোচনা করা প্রয়োজন। কোন কোন দিকে আমরা সফল হচ্ছি আর কোথায় কাজ করা প্রয়োজন তা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করি। আমরা সফল হলেও জানাবো ব্যর্থ হলেও কেন ব্যর্থ তার কারণ জানাবো।
দীর্ঘ সময় লোকসানে থাকায় পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে বলেও দাবি করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।